পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার আবেদনে প্রেসিডেন্টের সায়

প্রকাশিত: ২:৪৩ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২৩

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার আবেদনে প্রেসিডেন্টের সায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের আবেদনে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এর মধ্যে দিয়ে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র তিন দিন আগে দেশটির নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ বিলুপ্ত হয়ে গেল। সেই সঙ্গে দেশটির ফেডারেল কেবিনেটের কার্যকারিতাও শেষ হয়ে গেছে। খবর জিও নিউজ টিভি। বুধবার মধ্যরাতের পরে এই আবেদনে সই করেন প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে দেয়া বিবৃতিতে এমনটি জানানো হয়েছে। সংবিধানের ৫৮-১ ধারায় প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে অনুমোদন দেন প্রেসিডেন্ট।

আবেদনের সারসংক্ষেপটি পার্লামেন্ট বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে। এর মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নতুন তত্ত্বাবধায়ক গঠনের পথে এগিয়ে যাবেন।

বুধবার প্রেসিডেন্টের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেন, বুধবার প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠাবেন তিনি।

মঙ্গলবার ইসলামাদের এক অনুষ্ঠানে শেহবাজ শরীফ বলেন, আমাদের জোট সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবো। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেবে বলে জানান তিনি।

আগামী ১২ আগস্ট শেষ হচ্ছে বর্তমান সংসদের মেয়াদ। এর ৬০ দিন পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যদি সংসদ মেয়াদ পূরণের আগেই বিলুপ্ত করা হয় তবে দেশটির সংবিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে।

তবে গত সপ্তাহে কাউন্সিল অব কমন ইন্টারেস্টের এক বৈঠকে ২০২৩ সালের আদমশুমারির অনুমোদন দেওয়া হয়। ফলে পিছিয়ে যেতে পারে জাতীয় নির্বাচন। জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচন নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে সামনের বছর অনুষ্ঠিত হতে পারে।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে বিরোধী দলীয় নেতা রাজা রিয়াজ বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে আহ্বান জানাবেন যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে একটি সংলাপের আয়োজন করা হয়।

যদি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতারা যদি কোনও নাম ঠিক করতে ব্যর্থ হন তবে পার্লামেন্টারি কমিটি এই দায়িত্ব নেবে। তারাও যদি ব্যর্থ হয়, তবে সিদ্ধান্ত নেবে পাকিস্তানি নির্বাচন কমিশন।

পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম এ বিষয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। যেখানে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে একটি আনুষ্ঠানিক পত্র পাঠাবেন। যাতে পাকিস্তানের সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বাক্ষর করতে হবে। তবে যদি কোনো কারণে রাষ্ট্রপতি ওই পত্রে স্বাক্ষর করেন, তাহলে অ্যাসেম্বলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

এর আগে ১২ আগস্টের আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন শাহবাজ শরিফ। তিনি জানিয়েছিলেন, জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে পরামর্শ করে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যে তিনি সমস্ত মিত্র দল ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) নওয়াজ শরিফের সাথেও এ বিষয়ে পরামর্শ করবেন সেটিও নিশ্চিত করেছিলেন।

R/N

আমাদের তথ্যচিত্র গান কবিতা নাটক ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন।
0Shares