প্রিগোজিনের মৃতদেহ প্রাথমিকভাবে শনাক্ত: রুশ টিভি

প্রকাশিত: ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২৩

প্রিগোজিনের মৃতদেহ প্রাথমিকভাবে শনাক্ত: রুশ টিভি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী সংস্থা ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃতদেহ প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হয়েছে। তবে ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে পরিচয় চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া এখনো বাকি রয়েছে। উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের পর প্রিগোজিনসহ ১৩ জনের মৃত্যু নিয়ে চলমান ধোঁয়াশার মধ্যে নতুন এমন তথ্য প্রকাশ করেছে ক্রেমলিনপন্থী রুশ সংবাদমাধ্যম জারগ্রাদ টিভি। সংবাদমাধ্যমটির বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রিগোজিনের মৃতদেহ প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হয়েছে। তবে তার ডিএনএ বিশ্লেষণের কাজ এখনো বাকি রয়েছে।

রাশিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোশিন নিহত হয়েছেন, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো শুরুতে এমন খবর দেয়। তবে পরে বলা হয়, বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজের যাত্রীদের তালিকায় প্রিগোশিনের নাম রয়েছে। প্রিগোশিনের ভাগ্যে কী ঘটেছে, সেটা ক্রেমলিন বা রুশ প্রতিরক্ষা দপ্তর থেকে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। বলা হচ্ছে, ওয়াগনার গ্রুপের শীর্ষ কমান্ডার দিমিত্রি উতকিনও ওই উড়োজাহাজে ছিলেন।

এর আগে, প্রিগোজিনকে হত্যা করা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই। এমন দাবি করেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক এক কর্মকর্তা, যিনি সংস্থাটির মস্কো বিষয়ক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বুধবার (২৩ আগস্ট) মস্কোতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোজিনের মৃত্যুর পরই গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর মস্কো স্টেশনের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা ড্যানিয়েল হফম্যান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমন তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, `আমার এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এ হত্যাকাণ্ড পুতিনের নির্দেশেই হয়েছে।`

রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। সিরিয়া, লিবিয়া ও আফ্রিকায় বর্বরতা চালানো এই যোদ্ধা, রণক্ষেত্রে ছিলেন ত্রাসের নাম। তবে যুদ্ধের ময়দানে নয়, নয় শত্রুর কামান কিংবা গুলির আঘাতে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মস্কোতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার।

বুধবার ১০ আরোহী নিয়ে মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্বার্গের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় প্রিগোজিনের ব্যাক্তিগত উড়োজাহাজ। পথে মস্কোর টিভার অঞ্চলে ধসে পড়ে বিমানটি। এতে আরোহীদের কেউ বেচে নেই, দাবি রাশিয়ার সিভিল এভিয়েশন রেগুলেটর রোজাভিয়েতসিয়ার।

ওয়াগনার গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে দাবি করা হয়, নিছক দুর্ঘটনা নয় এটি। পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করায় প্রিগোজিনকে হত্যা করেছে ক্রেমলিন। গুলি করে উড়োজাহাজটি ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এর ভিত্তিতে কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি ভাড়াটে বাহিনীটি। অন্যদিকে ক্রেমলিন বলছে, হঠা আগুন লেগে যাওয়াই দুর্ঘটনার কারণ। কোন প্রমাণ না থাকলেও একই সুরে কথা বলছেন পশ্চিমা প্রতিপক্ষরাও। পুতিনকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ইউক্রেন।

R/N

আমাদের তথ্যচিত্র গান কবিতা নাটক ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন।
0Shares