আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি-টোয়েন্টিতে আমন্ত্রণ মোদির

প্রকাশিত: ২:৪৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২৩

আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি-টোয়েন্টিতে আমন্ত্রণ মোদির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

আফ্রিকান ইউনিয়নকে (এইউ) গ্রুপ অফ টোয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ সদস্য করার প্রস্তাব করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেইসাথে আগামী মাসে নয়াদিল্লিতে ব্লকের শীর্ষ সম্মেলনের আগে ভারতকে সাপ্লাই চেইন সমস্যার সমাধান হিসেবেও উপস্থাপন করেছেন তিনি।

রোববার নয়াদিল্লিতে বিজনেস ২০ সম্মেলনে দেয়া ভাষণে মোদি বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তি আমাদের একটি লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্য নিয়ে, আমরা আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি-টোয়েন্টির স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’

বিশ্বের ১৯টি প্রধান অর্থনীতির দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিয়ে জি-টোয়েন্টি গঠিত। বিশ্বব্যাপী মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ৮৫ শতাংশ এবং বিশ্বের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ এর অন্তর্গত। তবে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকা এই জোটের সদস্য।

গত ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তিনি আফ্রিকান ইউনিয়নকে ‘জি-টোয়েন্টির স্থায়ী সদস্য’ হিসেবে দেখতে চান। রোববার নয়াদিল্লিও প্যান-আফ্রিকান ব্লকটিকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে, গত বছর যার সম্মিলিত জিডিপি ছিল তিন লাখ কোটি ডলার।

এই বছর জি-টোয়েন্টির আয়োজক হিসেবে, নয়াদিল্লি সদস্যদের মধ্যে বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ইস্যুতে মতপার্থক্য দূর করতে লড়াই করছে। ভারত মস্কোকে বিচ্ছিন্ন করার পশ্চিমা নীতিতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং এর পরিবর্তে রাশিয়ান অশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হয়ে উঠেছে।

এর পূর্ববর্তী বৈঠকগুলোতে, জি-টোয়েন্টি প্রতিনিধিরা সেপ্টেম্বরের বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সন্দেহ উত্থাপন করে একটি একক ইশতেহারে পৌছাতে ব্যর্থ হয়েছে।

ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকান ইউনিয়নের সদর দপ্তর অবস্থিত। এর মোট সদস্য সংখ্যা ৫৫ হলেও, বর্তমানে পাঁচটি সামরিক শাসিত দেশ স্থগিতাবস্থায় রয়েছে।

মোদি আরও বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন বাধার পর একটি ‘দক্ষ এবং বিশ্বস্ত বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন’ তৈরিতে ‘সমাধান’ হতে পারে ভারত। এতে চীনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে উৎপাদন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করবে নয়াদিল্লি।

‘কোভিড-১৯ এর আগে এবং পরে বিশ্ব অনেক বদলে গেছে, বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইনকে আর আগের মতো করে দেখা যাবে না। তাই আজ যখন বিশ্ব এই প্রশ্ন নিয়ে ভাবছে, আমি নিশ্চিত করতে চাই যে এই সমস্যার সমাধান ভারত,’ বলেন তিনি।

২০২০ সালে হিমালয় সীমান্তে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় ও কমপক্ষে চার চীনা সৈন্য নিহত হওয়ার পর এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার একটি শীর্ষ সম্মেলনের এক ফাঁকে বিরল বৈঠকে মিলিত হন মোদি এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তারা বিতর্কিত সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে ‘অকপট এবং গভীর’ আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে বেইজিং।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনকে মোকাবেলা করতে ওয়াশিংটনও নয়াদিল্লির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে।

R/N

আমাদের তথ্যচিত্র গান কবিতা নাটক ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন।
0Shares