১৩০ কোটি বছর ধরে গঠিত গোলাপি হীরার রহস্য উম্মোচন

প্রকাশিত: ৮:৪৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩

১৩০ কোটি বছর ধরে গঠিত গোলাপি হীরার রহস্য উম্মোচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার আর্গিল খনি চার দশক ধরে প্রকৃতিতে পাওয়া সবচেয়ে মূল্যবান মণি-মুক্তার উৎস। পৃথিবীর অন্য যেকোনো খনির চেয়ে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি রঙিন- ঝলমলে-উজ্জ্বল এবং বিশুদ্ধতম হীরা পাওয়া যাচ্ছে আর্গিলে। গবেষকরা কয়েক দশক ধরে আর্গিলের রঙিন রত্নভাণ্ডারের উৎস উদঘাটনের চেষ্টা করছেন। তারা এই খনির আগ্নেয় শিলার বয়স নির্ধারণ করতে পেরেছেন। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, যে এসব দুর্লভ হীরা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ১৩০ কোটি বছর আগে। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী নেচার কমিউনিকেশনের বরাতে সায়েন্টিফিক আমেরিকানে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এমন দাবি করেছেন তারা।

আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকাসহ তিনটি মহাদেশ এবং ভারতীয় উপমহাদেশ নিয়ে গঠিত সুপারকন্টিনেন্ট বা অতিমহাদেশ যখন ভেঙে যায় তখন ভূগর্ভ ভয়াবহভাবে আন্দোলিত হয়েছিল। এর ফলে আর্গিল খনিতে যেসব অমূল্যরত্ন পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো ভূপৃষ্ঠের কাছে উঠে আসে।

অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে দুই হাজার ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, দেশের কিম্বার্লি অঞ্চলে অবস্থিত এই আর্গিল খনি এলাকাটি আকারে কমপক্ষে ৯৪টি ফুটবল মাঠের সমান। বিশ্বের ৯০ শতাংশেরও বেশি গোলাপি হীরার উৎস এই খনি। প্রায় ১৩-ক্যারেটের মহামূল্যবান পিংক জুবিলি নামের হীরাটি এই খনিতে পাওয়া যায়।

আর্গিলের সবচেয়ে উজ্জ্বল হীরার গোলাপি আভা এসেছে যখন ভূপৃষ্ঠের গভীরে সেগুলো চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে ছিল।

পার্থের কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক এবং নতুন এই গবেষণার প্রধান হুগো অলিরুক বলেন, এই হীরা শুরুতে বর্ণহীন থাকে। কিন্তু মহাদেশীয় সংঘর্ষে এবং তীব্র টেকটোনিক চাপের ফলে স্বচ্চ এসব শিলার গঠন কাঠামোতে পরিবর্তন আসে। এরপর অসম্ভব সুন্দর ও উজ্জ্বল এই রঙগুলো উম্মোচিত হয়। হীরকখণ্ডগুলো যত বেশি চাপে থাকে ততই এদের গোলাপি আভা স্পষ্ট হতে থাকে।

মহাদেশীয় সংঘর্ষের সময় এগুলো ভূগর্ভের অনেক গভীরে গুরুমণ্ডলে ঢুকে পড়ে। এরপর আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুতপাতের সঙ্গে এগুলো ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি উঠে আসে।

R/N

আমাদের তথ্যচিত্র গান কবিতা নাটক ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন।
0Shares