এবার ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধে মধ্যস্থতা করতে চায় চীন

প্রকাশিত: ৯:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২৩

এবার ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধে মধ্যস্থতা করতে চায় চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলতি বছরের জুনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের চীন সফরের সময় স্বাগতিক দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘতম সংঘাত-ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বেইজিং। শি জিনপিং জানিয়েছিলেন, চীনাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও সামর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।

চীনের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ও সৌদি আরবের বৈরী সম্পর্কের বরফ যখন গলতে থাকে তখনই মাহমুদ আব্বাসকে নতুন এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শি জিনপিং। এর আগে, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একচ্ছত্র প্রভাব থাকলেও তাকে পাশ কাটিয়ে বেইজিংয়ের এই শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়। নতুনভাবে প্রকাশিত হতে থাকে চীনাদের দূতায়ালির সক্ষমতা।

এই প্রতিশ্রুতির কয়েক মাসের মধ্যে ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা শুরু করে গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস। শনিবার শুরু হওয়া এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ১২ শো`র বেশি মানুষ। পঞ্চমদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে বিমান হামলায় নিহত হয়েছে ২৬০ শিশুসহ কমপক্ষে ৯৫০ বাসিন্দা।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শি জিনপিং নিজস্ব এক ধরনের কূটনীতি প্রয়োগ করতে চান যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে। প্রথম দিকে বেইজিংয়ের এমনসব প্রতিশ্রুতি অনেকের কাছে হালকা ও অকার্যকর মনে হলেও ধীরে ধীরে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো বুঝতে পারে চীনের নতুন কূটনৈতিক দূতায়ালি করার সক্ষমতা। খবর সিএনএন।

এদিকে, ইসরায়েলে হামাসের মুহুমুর্হ রকেট হামলার পর যখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা শক্তিগুলো একচেটিয়া ফিলিস্তিনিকে দোষারোপ করতে থাকে তখন নিরপেক্ষ অবস্থান নেয় বেইজিং।

গাজার শাসক দল হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা পাল্টা হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর ও ইসরায়েলের মূলভূখণ্ড। এতে দুই পক্ষের মোট প্রাণহানি ছাড়িয়েছে দুই হাজার।

R/N

আমাদের তথ্যচিত্র গান কবিতা নাটক ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন।
0Shares