ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধে সৌদি যুবরাজ ও ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ

প্রকাশিত: ১:২৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২৩

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধে সৌদি যুবরাজ ও ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ

নোভা মিডিয়া ডেস্ক:

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের ওপর যুদ্ধাপরাধ বন্ধে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে আলোচনা করেছেন সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)। গতকাল বুধবার এই দুই নেতা টেলিফোনে আলাপকালে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ বন্ধের বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পর এই প্রথম দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আলোচনা হলো। টেলিফোনে আলাপকালে দুই নেতা, দ্রুত যুদ্ধ বন্ধে প্রয়োজনীয় করণীয় নিয়েও আলোচনা করেন।

সৌদি আরব ও ইরানের শীর্ষ নেতৃত্বের আলাপ এমন এক সময়ে এল যখন ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক বিমান হামলার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে এবং হামলার পরপরই স্থল অভিযানের ঘোষণাও দিয়েছে। পাশাপাশি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে ‘মৃত্যু পরোয়ানা’ জারি করেছেন।

ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ বন্ধের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তবে সেখানে সরাসরি ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ১২ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৫ হাজার ৬০০ জন। হতাহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। গাজা শহরসহ গাজা উপত্যকার বিরাট একটি অংশকে বিমান হামলার মাধ্যমে বিধ্বস্ত করে ফেলা হয়েছে।

সৌদি আরবে সংবাদ সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, সৌদি যুবরাজ হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সব অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। সৌদি যুবরাজ এ সময়, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মত প্রকাশ করেন।

এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের টেলিফোন আলাপের বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখছে। ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের কাছে হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ বা ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে যাতে হামাসকে এই হামলা থেকে বিরত রাখা যায়, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করা যায় এবং ইরানকে সরাসরি এই ঘটনাপ্রবাহে যুক্ত হওয়া থেকে বিরত রাখা যায়।

আমাদের তথ্যচিত্র গান কবিতা নাটক ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন।
0Shares