সিলেট ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইতিহাস বলছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের স্বভাব বেশ পুরনো। বিভিন্ন দেশে জাতি গঠনের নামে যুক্তরাষ্ট্র স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিত। ২০০১ সালে সন্ত্রাসী হামলার পর এই মোড়লের হাতে নতুন হাতিয়ার তুলে দেয়া হয়। আর তাতে আফগানিস্তান মিশনের নামে বিভিন্ন দেশে সামরিক অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য সেখানে টানা ২০ বছর লিপ্ত থেকে বিফল হওয়ার পর তার আর জাতিগঠনে দায়িত্ব পালন করে না। তবে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নামে বিভিন্ন দেশে আগ্রাসনে সহায়তা দেয়। তবে তাতেও এখন পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র। তার অন্যতম উদাহরণ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ।
১৯৯১ সালে স্নায়ু যুদ্ধের পর একক পরাশক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে এই সময়ের মধ্যে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়নি। বরং এ সময়ে দেশটি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের দাবিকৃত ‘নতুন বিশ্বব্যবস্থা’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশে দেশে ক্ষমতার পরিবর্তনে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের এমন উদ্যোগের বলি হয়েছে ইরাক, সাবেক যুগোস্লাভিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্তান এবং সিরিয়া। এর বাইরে এমনও অনেক দেশ রয়েছে যেখানে যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে সরকার, শাসনক্ষমতা বদলে দিয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন বৈশ্বিক সংগঠনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে ওয়াশিংটনের ইচ্ছার বাইরে কাজ করা বিভিন্ন দেশকে শায়েস্তা করতে চেয়েছে এবং করেছে। যেমন জাতিসংঘকে ব্যবহার করে ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ করেছে।
ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের সরাসরি ব্যয় প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হয়। এর বাইরে যুদ্ধ দুটিতে অংশ নেয়া সেনাদের চিকিৎসাসেবা ও বিকলাঙ্গ ভাতা পরিশোধ করার জন্য আরও কয়েক ট্রিলিয়ন যোগ হয়েছে। ফল হিসেবে অবিজয়যোগ্য দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ দুটি মার্কিন সামরিক বাহিনীকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে এবং ক্লান্ত করে দিয়েছে।
পরিপূর্ণভাবে বিদ্রোহীদের পরাজিত করা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ দমনে তাদের অক্ষমতার প্রমাণও দিয়েছে ইরাক ও আফগান যুদ্ধ। এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও ব্যয়বহুল সামরিক বাহিনীর সীমাবদ্ধতা এবং মার্কিন বাহিনীর অনৈতিকতার প্রমাণও হয়ে পড়েছে এ দুটি যুদ্ধ।
একই সঙ্গে বুশ প্রশাসনের বেপরোয়া ও উদ্ধত একতরফা (তুমি হয় আমাদের সঙ্গে, না হয় বিপক্ষে) মিত্রদের মাঝে বিরোধ তৈরি করেছে এবং বিশ্বব্যাপী জনমতকে অবজ্ঞা করেছে। বুশ প্রশাসনের বিদায়ের পর পছন্দের রেটিংয়ে বিশ্বজুড়ে দেশটির অবস্থান ছিল একেবারে তলানিতে। যুদ্ধের সময় প্রকাশিত হয়ে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের ঘৃণ্য আচরণ (আবু গারিব কারাগার, নির্যাতন, গুয়ান্তানামো বে কারাগার ইত্যাদি) আল-কায়দাকে চরমপন্থায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার রসদ সরবরাহ করেছে। এর জন্য আফগানিস্তানে হলেও আমেরিকাবিদ্বেষী ঘৃণা অনেক দেশে স্থানান্তরিত হয়েছে এবং ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আমেরিকার সামরিক বাহিনীর দুর্বল ও ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়াটা একসময় নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য সাহসী থাকা দেশটির আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ও বহুমুখী উত্থানের অক্ষমতার অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান ইসরাইল-ফিলিস্তিনের সংকট নিরসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ছিল দুই পক্ষের জন্য আলাদা দুটি রাষ্ট্র। আর এই দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের তত্ত্বটি এসেছিলো ১৯৯৩ সালে অসলো শান্তি আলোচনার মাধ্যমে এবং দুই পক্ষই তাতে সম্মত হয়েছিল।
১৯৯৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আইজাক রবিনের মধ্যে অসলো চুক্তি সই হয়। এই চুক্তি স্বাধীন ফিলিস্তিনের স্বপ্ন দেখালেও চুক্তির ৩০ বছর ঘিরে ইজরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ হয়নি বরং আরও বেড়েছে।
অসলো চুক্তি অনুযায়ী, ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা (পিএলও) ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় এবং পক্ষান্তরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অবিভক্ত ফিলিস্তিনের ৭৮ শতাংশ ভূমির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। বাকি থাকা ২২ শতাংশ ভূমি নিয়ে সম্ভাব্য স্বাধীন ফিলিস্তিনকেও স্বীকৃতি দেয়নি তেল আবিব। যুক্তরাষ্ট্রের ফর্মুলা অনুযায়ী ‘দুই রাষ্ট্র’ সমাধানের বিষয়ও সামনে এগিয়ে যায়নি। ইসরায়েলও এটি নিয়ে এখন কোনো কথা বলছে না। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায়ও ভেস্তে গেছে সেই চুক্তি।
অসলো চুক্তি সইয়ের পর ইসরায়েলি প্রশাসন তাদের ভূমি দখল অব্যাহত রেখেছে। আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষের সমালোচনা উপেক্ষা করে এখন পর্যন্ত তারা এটি জারি রেখেছে। ২০০৩ সালে পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়। ২০২৩ সালে এসে সেই হার চার গুণেরও বেশি হয়েছে। বর্তমানে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ২৭৯টি অবৈধ বসতিতে সাত লাখ ইহুদির আবাস গড়ে তুলেছে ইজরায়েলি প্রশাসন। এ ছাড়া ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি ক্রমেই জোরালো হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজার চারপাশের বাধা বেড়া ভেঙে ইসরায়েলি শহর ও কিববুৎজে তাণ্ডব চালিয়ে হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার পর গাজা শাসনকারী হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল। এরপর থেকে ইসরাইল আকাশ থেকে গাজায় হামলা চালায় এবং ছিটমহলটি পুরোপুরি অবরোধ করে রাখে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, চার হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ১০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে টেকসই এবং দৃঢ় প্রতিক্রিয়ার জন্য ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচুর প্রশংসা করা হয়েছে, বেশিরভাগ অভিনন্দন আলোচনা রাশিয়ার ক্ষতিকে কেন্দ্র করে। কিয়েভের পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে জ্যাভলিন এবং স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট আর্টিলারি এবং সম্প্রতি আধুনিক ট্যাঙ্ক সরবরাহ করেছে। তবুও, ২০২২ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে প্রতিহত করার জন্য খুব কম প্রচেষ্টা করেছিল, যদিও যথেষ্ট প্রমাণ ছিল যে তারা আক্রমণ করতে চেয়েছিল।
অ্যাডলফ হিটলারের ইচ্ছাশক্তি, বিশাল সামরিক শক্তি দ্বারা সমর্থিত, ব্রিটেনের নেভিল চেম্বারলাইন এবং অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের তার প্রাথমিক দাবির কাছে মাথা নত করতে বাধ্য করেছিল এই আশায় যে, এটি তার বৃহত্তর উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। ২০০০ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে চার জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি অদ্ভুত ভয় ও আকর্ষণ প্রকাশ করেছেন। পুতিনের আগ্রাসী উদ্যোগের প্রতি পশ্চিমা নীতির প্রতিক্রিয়ার কার্যকারিতা এই স্থিরকরণ গুরুতরভাবে হ্রাস করেছে।
নেটিজেনরা মনে করেন, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই বদলে গেছে এবং এক সময়ে ইসরায়েলের সাথে বৈরি সম্পর্ক ছিলো এমন কয়েকটি মুসলিম দেশ এখন ইসরায়েলের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি করেছে। আবার অসলো শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী আমেরিকা সবসময় দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বের কথা বললেও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে সরিয়ে আনার পর ওই তত্ত্বের অপমৃত্যুই হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনিদের মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ করেছিলো। যুক্তরাষ্ট্র সেদিন জেরুসালেমে তাদের দূতাবাস উদ্বোধন করছিল সেদিন গাজা পরিণত হয়েছিল এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। সেদিন গাজায় নিহত হয় ৫৮ জন, আর আহত হয় আরও প্রায় তিন হাজার।
তিনদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইজারায়েল আর ইউক্রেন নিয়ে মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছে। তার আগে তিনি ইজরায়েল সফর করে এসেছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, হামাস এবং পুতিন মার্কিনীদের জন্য হুমকি। তারা উভয়েই প্রতিবেশী গণতন্ত্রকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করতে চায়। হামাসের বিদ্যমান উদ্দেশ্য হচ্ছে ইজরাইল রাষ্ট্রের ধ্বংস এবং ইহুদিদের হত্যা করা। হামাস ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। হামাস ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে এবং নিরীহ ফিলিস্তিনি পরিবারগুলি তাদের কারণে ব্যাপকভাবে ভুগছে।
বাইডেন গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার বৃহত্তর সংগ্রামের অংশ হিসেবে ইসরায়েল ও ইউক্রেনের সংঘাতকে এক করে দেখছেন। বাইডেন বলেন, এই বৈশ্বিক সংকটে মার্কিন নেতৃত্ব যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ করে তুলবে। ইউক্রেন ও ইসরায়েলের জন্য ‘নজিরবিহীন’ সহায়তা প্যাকেজ পাস করার জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আমেরিকানদের বলেন, এই নিরাপত্তার মূল্য দিতে হবে। তবে তিনি আমেরিকানদের আরও বলেছিলেন যে, এই যুদ্ধগুলো থেকে দূরে সরে যাওয়ার ব্যয় অনেক বেশি হবে।
তিনদিন আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো রাশিয়া, চীন এবং কিছু উন্নয়নশীল দেশ কর্তৃক পশ্চিমাদের দীর্ঘদিনের সমালোচনাকে শক্তিশালী করেছে এবং মানবাধিকার ও মানবিক আইনের সাথে সম্পর্কিত ইস্যুগুলোর জন্য ওয়াশিংটনের তাত্ক্ষণিক সমর্থন অর্জনের ক্ষমতাকে আবারও বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলে মনে করেন অনেকেই। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র ইজরাইলকে রক্ষার জন্য দুটি ভেটো দিয়েছিল, যা জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সংস্কারের মার্কিন অভিযানকে জটিল করে তুলেছিল। সমর্থনের অভাবে ওয়াশিংটন শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দেয়।
কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণের কারণে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে সফলভাবে এবং বারবার রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার পরে, ওয়াশিংটনকে ভবিষ্যতে কোনও পদক্ষেপের জন্য সমর্থন তৈরির জন্য তদবির করতে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হতে পারে।
জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পরিচালক লুই চারবোনেউ বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা সরকার যদি বাকি বিশ্বকে বোঝাতে চায় যে তারা মানবাধিকার ও যুদ্ধআইন, ইউক্রেনে রুশ নৃশংসতা এবং ইসরায়েলে হামাসের নৃশংসতার ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রযোজ্য নীতিগুলো নিয়ে সিরিয়াস, তাহলে গাজায় বেসামরিক জীবনের প্রতি ইসরায়েলের নৃশংস অবহেলার ক্ষেত্রেও তাদের প্রয়োগ করতে হবে।
অন্যদিকে আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকরা যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেয়ার পর রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তারা সবাই কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষার জন্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ভেটো দিয়ে তারা বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। ইউক্রেনের জন্য যা যথেষ্ট তা ফিলিস্তিনের জন্য যথেষ্ট নয়। এক আফ্রিকান কূটনীতিক বলেন, “ভেটো আমাদের বলেছে যে ফিলিস্তিনিদের চেয়ে ইউক্রেনের জীবন বেশি মূল্যবান।
একজন জ্যেষ্ঠ আরব কূটনীতিক বলেছেন, বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলো আন্তর্জাতিক আইনকে ‘বেছে বেছে প্রয়োগ’ করছে বলে মনে হচ্ছে। কূটনীতিকরা বলেন, আমরা ইউক্রেনকে রক্ষা করার জন্য জাতিসংঘ সনদের নীতিগুলি আহ্বান করতে এবং ফিলিস্তিনের জন্য এটি উপেক্ষা করতে পারি না। এই দ্বৈত মানদণ্ড কেবল অন্যায়ই নয়, বিশ্বকে আরও বিপজ্জনক জায়গায় পরিণত করেছে।
R/N
Administrative Contact:
Name: Fatama Akter Shiuly
Address: Sheikhghat Sylhet.
Postal Code: 3100
Email: siuliakter571@gmail.com
Phone: 880 1760275449
প্রধান সম্পাদক: ফাতেমা আক্তার শিউলী
প্রধান সম্পাদক: ফাতেমা আক্তার শিউলী Phone: 880 1760275449