সাংস্কৃতিক বিনিময়ে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে: চীনা রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত: ১:৩৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪

সাংস্কৃতিক বিনিময়ে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে: চীনা রাষ্ট্রদূত

জাতীয় ডেস্ক:

জাতীয় নাট্যশালার মূল থিয়েটার হল সেজেছিল চীনা সংস্কৃতির আদলে, এ যেন এক খণ্ড চীন। অনুষ্ঠানের ভাষা চীনের, আবহ চীনের এবং সাংস্কৃতিক আয়োজনের সিংহভাগই ছিল চীনের। অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ যেন উজ্জ্বল হয়। তার জন্যেই ইউনান প্রদেশের শিল্পকলা বাংলাদেশে পরিবেশন করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’

বুধবার ( ১৭ জানুয়ারি ) চীন দূতাবাস ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘ভয়েসেস অব স্প্রিং: গোল্ডেন ড্রিমস’। অনুষ্ঠানে অতিথিরা সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, নির্বাচন এবং নতুন মন্ত্রিসভা দিয়ে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন বৈচিত্র্যময় উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করে বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে। বিশেষ করে দুই দেশের বন্ধুত্ব নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। যার ফলশ্রুতিতে ইউনান প্রদেশের শিল্পকলা বাংলাদেশে পরিবেশন করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। যাতে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়।

আয়োজনে প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হাজার বছরের। আপনাদের দুই লেখক ফাহিয়েন ও হিউ এন সাং এর লেখনীর মধ্য দিয়ে আপনাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জেনেছি। এই ঐতিহ্য বিনিময়ের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও বেশি শক্তিশালী হবে।

দীপু মনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পঞ্চাশের দশকে চীনে গিয়েছিলেন এবং তখন চৌ এন লাইও বাংলাদেশে এসেছিলেন। চীন সরকার বাংলাদেশের সদ্য নির্বাচনে জয়ী প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিগত সময় গুলোতে চীন আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে বাইরের হস্তক্ষেপ থেকে রক্ষায় সহযোগিতা করে আসছে। শুধু সাংস্কৃতিক নয় চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়েও দারুণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। গত বছর ১৪টি মেগা প্রজেক্ট কাজ হয়েছে ও চলমান। সামনে এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিপিসি ইউনান প্রভিনশনাল পার্টি কমিটির পাবলিসিটি বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল পিং পেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। উপস্থিত ছিলেন ইউনান প্রদেশের বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা।

চীন ও বাংলাদেশের ঐতিহ্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। আলোচনাসভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সফির উদ্দিন হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং চীনের ইউনান প্রদেশের শিল্পীরা।

আমাদের তথ্যচিত্র গান কবিতা নাটক ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন।
0Shares