বাংলাদেশে চালু হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলার পরিষেবা

প্রকাশিত: ৭:৪৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪

বাংলাদেশে চালু হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলার পরিষেবা

অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি ঢাকার সঙ্গেও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক মজবুত করা হবে। সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন মিশন প্রধান হেলেন লাভেভ এ কথা বলেছেন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মার্কিন সমর্থনের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেন মার্কিন ওই উচ্চ পদস্থ কূটনীতিক।

সাক্ষাতে হেলেন লাভেভ বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানাতে পেরে মার্কিন সরকার আনন্দিত এবং একসঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করতে উন্মুখ হয়ে আছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ করতে মার্কিন দূতাবাস এই সপ্তাহে ঢাকায় তাদের কনস্যুলার পরিষেবা আবারও চালু করবে বলে জানিয়েছে হেলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে হাজার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মার্কিন কূটনীতিক জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম, গভর্ন্যান্স এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনও শুরু করেছে ওয়াশিংটন। এর ফলে বিষয়টি দ্রুত আরও সহজতর হয়ে উঠবে বলেও জানান তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অংশীদার। মার্কিন মিশন প্রধান আরও জানান, চলতি বছরই রোহিঙ্গাদের আরও বেশি পরিমাণ তহবিল দেওয়ার পাশাপাশি মাসিক খাদ্য সহায়তার পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। রোহিঙ্গাদের কর্মসংস্থানের বিষয়েও তিনি কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে।

বাংলাদেশের প্রতি মার্কিন সমর্থনের বার্তা পৌঁছে দেওয়া এবং কক্সবাজারের ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের প্রতি অনুদান অব্যাহত রাখার জন্য হেলেনকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে গভীর সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং একটি যুক্তিসংগত সময়ের পর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশে বন্যার্তদের সহায়তার জন্য দাতাদের মধ্যে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মেরও আহ্বান জানান।

সাক্ষাতে শ্রম ও সংখ্যালঘু বিষয় নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কিছু উদ্বেগ উত্থাপন করেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত এবং অন্তর্বর্তী সরকার সব নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আলোচনায় মানবাধিকার ইস্যু, সাইবার নিরাপত্তা আইন এবং র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের প্রসঙ্গও এসেছে। দেশে একটি ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করার প্রয়াস নিয়ে মার্কিন সরকার বাংলাদেশকে একটি বিচার সম্পর্কীয় সেবা গঠনে সহায়তা করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন হেলেন।

আমাদের তথ্যচিত্র গান কবিতা নাটক ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন।
0Shares