বিশ্বনেতাদের উদ্যোগ জরুরি

প্রকাশিত: ১১:২৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২৪

বিশ্বনেতাদের উদ্যোগ জরুরি

নোভা মিডিয়া ডেস্ক:

গাজা ও লেবাননে ইসরাইলের হামলা বন্ধে জাতিসংঘসহ শক্তিমান দেশগুলোর নীরব ভূমিকার কারণে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিলতর হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইরানের সিনিয়র কমান্ডারদের হত্যার প্রতিশোধ হিসাবে মঙ্গলবার ইসরাইলকে লক্ষ করে নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। অবশ্য তেহরানের ছোড়া প্রায় দু’শ ক্ষেপণাস্ত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কেমন, তা স্পষ্ট নয়। কারণ এ নিয়ে তেল আবিব ও তেহরান পরস্পরবিরোধী তথ্য দিয়েছে। হামলার জবাবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, তেহরানকে এ ভুলের চড়া মূল্য দিতে হবে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘটনার পরপরই ইসরাইলের প্রতি ওয়াশিংটনের পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে, রাশিয়া এ ঘটনার জন্য মার্কিন নীতির ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছে। আর চীন অবিলম্বে লেবাননে আগ্রাসন বন্ধে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। অপরদিকে জরুরি বৈঠক করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

বলা বাহুল্য, মধ্যপ্রাচ্যের এ সংঘাতে গোটা বিশ্ববাসীই উদ্বিগ্ন। এমনিতেও যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন এবং ইউরোপের কতিপয় দেশের যুদ্ধংদেহী মনোভাব দেশগুলোর পারস্পরিক সম্পর্কে ফাটল ধরিয়েছে, যার প্রভাব পড়ছে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোতেও। যুদ্ধাস্ত্রের ব্যবহার বৈশ্বিক পরিবেশকেও করে তুলছে দুর্বিষহ। খাদ্য, জ্বালানি তেল, গ্যাস ইত্যাদির চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থায় শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। ফলে পরিস্থিতি এরই মধ্যে উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। হতাশার বিষয় হচ্ছে, মানবাধিকার নিয়ে উচ্চকণ্ঠ যে দেশগুলো, তাদের উদাসীনতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্রও স্পষ্ট। সাম্প্রতিক লেবাননে তো বটেই, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নারী-শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ নির্বিশেষে এ পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হলেও তা বন্ধে বিশ্ব নেতৃত্বের কার্যকর ভূমিকা দৃশ্যমান নয়। জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, গেল বছরের অক্টোবরে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের ৮০ শতাংশ স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

আমাদের তথ্যচিত্র গান কবিতা নাটক ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন।
0Shares