ইউনূসের যুক্তরাষ্ট্র সফর সফল

প্রকাশিত: ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪

ইউনূসের যুক্তরাষ্ট্র সফর সফল

নোভা মিডিয়া ডেস্ক:

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মহা-অভ্যুত্থানের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী একনায়কত্ববাদী স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। অভ্যুত্থানকারীদের হাতে শেখ হাসিনার জীবননাশের শঙ্কা থাকায় তিনি নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভারতে চলে যান। তাকে ভারতের হিন্দান বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয় বাংলাদেশের একটি সি-১৩০ হারকিউলেস সামরিক বিমান। হিন্দান বিমান ঘাঁটিটি দিল্লির কাছাকাছি একটি সামরিক বিমান ঘাঁটি। শেখ হাসিনা গর্ব করে বলতেন, শেখ হাসিনা পালায় না। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, গণ-অভ্যুত্থানের প্রবল তোড়ে শেখ হাসিনাকে পালাতে হলো। শেখ হাসিনা বলতেন, ভারতকে যা দিয়েছি, ভারত তা চিরদিন মনে রাখবে। যে ভারতকে তিনি সাধ্যাতীতভাবে তুষ্ট করতে চেয়েছেন, সেই ভারতেই এখন তার আশ্রয়। সম্ভবত শেষ আশ্রয়। তিব্বত থেকে পালিয়ে আসা ধর্মীয় নেতা দালাইলামা যুগ যুগ ধরে ভারতের আশ্রয়ে জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। এখন তিনি জীবনসায়াহ্নে উপনীত। তার ভাগ্যে হয়তো আর তিব্বতে ফেরা হবে না।

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে ৩ দিন সরকারশূন্য অবস্থা বিরাজ করছিল। আন্দোলনকারী ছাত্র ও সাধারণ মানুষ আশা করেছিলেন, দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। হাসিনা সরকারের পতনের সময় তিনি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থান করছিলেন। প্যারিস থেকে দেশে ফিরে ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার পদে নিযুক্ত হয়ে শপথ গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে অন্য উপদেষ্টারাও শপথ গ্রহণ করেন। তার সরকারের অন্যতম প্রধান উদ্দিষ্ট হলো দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং রাষ্ট্র কাঠামোয় সংস্কার সাধন। ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে ৬টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীতে রদবদল চলছে। শেখ হাসিনার সরকার রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। বিচার বিভাগ, প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসহ সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ধ্বংস ও নৈরাজ্যের শেষ প্রান্তে গিয়ে পৌঁছেছিল। দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। সরকার দেশীয় ব্যাংকব্যবস্থা ও বিদেশি সূত্রগুলো থেকে বিরাট অঙ্কের ঋণ করে দেশকে ঋণ-দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে গেছে। এমনই এক পরিস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ভগ্নদশা অবস্থায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়। তিনি হিমালয়সম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে আছেন। তার কাজের ধীরগতি নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে বটে। কিন্তু যে রকম জটিল পরিস্থিতিতে তাকে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, তাতে ধীরগতি অস্বাভাবিক কিছু নয়। জনগণের আশা, তার সরকার আরও দৃঢ়তা ও ক্ষিপ্রতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে।

আমাদের তথ্যচিত্র গান কবিতা নাটক ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

0Shares