প্রিগোজিনের উড়ান বিধ্বস্ত হওয়া সম্পর্কে যা জানা গেলো

প্রকাশিত: ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২৩

প্রিগোজিনের উড়ান বিধ্বস্ত হওয়া সম্পর্কে যা জানা গেলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর উত্তরে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র প্রিগোজিনের ভাড়াটে সেনাবাহিনী ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের পর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

তবে গত জুনে রাশিয়ার সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে প্রিগোজিন তার সৈন্যদের মস্কোর দিকে অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দেয়ার পর পুতিনের সাথে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়া সম্পর্কে এখনও নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে তা হলো-

উড়োজাহাজটির কী হয়েছিল?

রাশিয়ার বিমান চলাচল কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন, বুধবার সন্ধ্যায় মস্কোর উত্তরে টাভার অঞ্চলে বিধ্বস্ত হওয়ার সময় এমব্রেয়ার লিগ্যাসি নামের উড়োজাহাজটি মস্কো এবং সেন্ট পিটার্সবার্গের মধ্যে ছিলো।

তবে ওয়াগনারের সাথে সম্পর্কিত টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন জানিয়েছে, জেটটি রাশিয়ান সামরিক বাহিনী দ্বারা গুলি করে নামানো হয়েছে- যদিও এটি এ দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ দেয়নি।

বিবিসি কর্তৃক যাচাইকৃত ভিডিও ফুটেজে রাশিয়ার কুজেনকিনোতে আকাশ থেকে একটি বিমান পড়তে দেখা গেছে।

গ্রে জোন জানিয়েছে, প্রিগোজিনের মালিকানাধীন দ্বিতীয় ব্যবসায়িক জেট মস্কো অঞ্চলে নিরাপদে অবতরণ করেছে।

উড়োজাহাজে কারা ছিলো?

প্রাইভেট জেটটিতে সাতজন যাত্রী ও তিনজন ক্রু ছিল। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বিমানটিতে থাকা ১০ জনের সবাই নিহত হয়েছেন। সব লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

রাশিয়ার এভিয়েশন এজেন্সি সাত যাত্রীকে শনাক্ত করেছে: প্রিগোজিন এবং তার ডান হাত দিমিত্রি উটকিন, সের্গেই প্রপুস্টিন, ইয়েভগেনি মাকারিয়ান, আলেকজান্ডার টটমিন, ভ্যালেরি চেকালভ এবং নিকোলাই মাতুসেয়েভ।

ক্রু সদস্যরা হলেন ক্যাপ্টেন আলেক্সি লেভশিন, কো-পাইলট রুস্তম করিমভ এবং ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ক্রিস্টিনা রাসপোপোভা।

প্রিগোজিনের সাম্প্রতিক অবস্থান সম্পর্কে কী জানা গেছে?

প্রাইভেট জেটটি মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাওয়ার সময় বিধ্বস্ত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের বিরুদ্ধে ক্ষণস্থায়ী বিদ্রোহের কারণে প্রিগোজিন সাম্প্রতিক সুময়ে এক প্রকার আড়ালেই ছিলেন। বিদ্রোহের অবসান ঘটাতে একটি চুক্তির অধীনে, তিনি বেলারুশে স্থানান্তরিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়। কিছু সময়ের জন্য তিনি তা মেনে নিলেও, সেটি করেছিলেন নিজের মতো করে।

জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে, টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রদর্শিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্রিগোজিন তার যোদ্ধাদের বেলারুশে স্বাগত জানাচ্ছেন।

কিন্তু ওই মাসের শেষের দিকে আফ্রিকা-রাশিয়া সম্মেলনের সময় রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে তোলা ছবিতে তাকে দেখা যায়।

গত সপ্তাহে, প্রিগোজিন একটি ভিডিও বিবৃতি দে, যেখান থেকে ধারণা করা হচ্ছে তিনি তখন আফ্রিকায় ছিলেন। তবে সেই ভিডিওটি কোথায় ধারণ করা হয়েছে তা বিবিসি যাচাই করতে পারেনি।

এখন কী ঘটছে?

রাশিয়ার তদন্তকারী কমিটির মতে, রাশিয়ার ফৌজদারি কোডের ২৬৩ ধারার অধীনে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এই ধারা ট্র্যাফিক নিরাপত্তা এবং বিমান পরিবহন পরিচালনা করে।

এদিকে, জরুরি পরিষেবাগুলো ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান শেষ করেছে। ভের অঞ্চলের গভর্নর ইগর রুদেনিয়া তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

R/N

আমাদের তথ্যচিত্র গান কবিতা নাটক ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন।
0Shares