প্রিগোজিনের মৃত্যুতে পুতিন কী কোনো সুবিধা পাবেন?

প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২৩

প্রিগোজিনের মৃত্যুতে পুতিন কী কোনো সুবিধা পাবেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা ওয়াগনার প্রাইভেট আর্মির প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিনকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করা হয়নি।

মস্কো থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপশ্চিমে একটি প্রাইভেট বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন নিহত হয়। কিন্তু ১০ জনের মধ্যে ৬২ বছর বয়সী একজনের এখনও ডিএনএন পরীক্ষা করা হয়নি।

ওই ১০ জনের মধ্যে প্রিগোজিনও ছিলেন। ভাড়াটে বাহিনী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন প্রিগোজিন। যাকে সংক্ষেপে ওয়াগনার বলা হয়।

গত ২৩ জুন মস্কোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে প্রিগোজিন। এরপর তিনি হাজার হাজার সৈন্য নিয়ে মস্কোর দিকে অভিযান শুরু করেন। এ ঘটনায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন পুতিন। গুঞ্জন ওঠে প্রিগোজিনের ভয়ে তিনি মস্কো থেকে পালিয়ে গেছেন।

ইউক্রেনের দক্ষিণপূর্ব এলাকায় ওয়াগনার বাহিনী যুদ্ধ করার সময় রাশিয়া তাদেরকে যুদ্ধাস্ত্র দিতে দেরি করে, এরপর থেকেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রিগোজিনের দূরত্ব বাড়তে থাকে।

শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহ থেকে সরে আসে ওয়াগনার বাহিনী। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সজান্ডার লুকাসিনকো প্রিগোজিনকে থাকার সুযোগ করে দিলে তিনি বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন।

রাশিয়া প্রিগোজিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও ওয়াগনারদলের শীর্ষ বিশেষজ্ঞরা তার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জন লেকনার যিনি প্রিগোজিনের ওপর দীর্ঘ এক বছর গবেষণা করে একটি সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, ওয়াগনার বাহিনীর সূত্র থেকে জানতে পারি প্রিগোজিন মারা যাওয়ার ঘটনা সত্য। রুশি মিডিয়া বিমান দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ করার পরই তিনি আল জাজিরাকে এ তথ্য জানান। যদি আল জাজিরা তার এ দাবিকে স্বাধীনভাবে খতিয়ে দেখেনি।

প্রিগোজিন বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, রাশিয়ার পক্ষে প্রিগোজিনের মৃত্যুর বিষয়টি ভুয়া বলে প্রচার করা সম্ভব নয়। কারণ তাদের কাছে ফরেনসিক রিপোর্ট রয়েছে।

R/N

আমাদের তথ্যচিত্র গান কবিতা নাটক ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন।
0Shares