সিলেট ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৪৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
জাতীয় ডেস্ক:
প্রতিদিন এসেছে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার
গত বছরের একই মাসের চেয়ে বেশি এসেছে
সদ্যবিদায়ী নভেম্বর মাস শেষে ১৯৩ কোটি ডলার বা ১.৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার সমান ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা) যা ২১ হাজার ১৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশের মধ্যে ডলারের বাজারের অস্থিরতা বেশ পুরোনো। এ সংকট ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। মার্কিন এ মুদ্রাটির সংকট নিরসনে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবুও সংকট নিরসনের কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না।
বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে অব্যাহত রয়েছে ডলার বিক্রি। আকুসহ বিভিন্ন বিল পরিশোধ রিজার্ভও কমছে। ডলার বিক্রি করায় চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রিজার্ভ কমেছে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। গ্রস রিজার্ভ নেমে এসেছে ২৫ বিলিয়নে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী আরও কমে ১৯ বিলিয়নের ঘরে এসেছে।
তবে এর মাঝেই নতুন করে আশা জাগাচ্ছিল রেমিট্যান্স। ডলার সংকটময় পরিস্থিতিতে এ মুদ্রা আয়ের অন্যতম উৎস রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করে নভেম্বরের শুরু থেকে। ধারণা করা হচ্ছিল মাসটিতে দুই বিলিয়ণ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। তবে সব আশা ফিকে করে দিয়ে তা দুই বিলিয়ন ডলারের নিচেই আটকে যায়। সদ্যবিদায়ী নভেম্বর মাস শেষে ১৯৩ কোটি ডলার বা এক দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার এসেছে। যা তার আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে পাঁচ কোটি ডলার কম এসেছে। আর গত বছরের একই মাসের (নভেম্বর-২০২২) চেয়ে ৩৩ কোটি ডলার বেশি এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, নভেম্বর মাসে মোট ১৯৩ কোটি ডলার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার সমান ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা) ২১ হাজার ১৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এটি আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে প্রায় পাঁচ কোটি ডলার কম। অক্টোবর মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার। তবে গত বছরের নভেম্বর মাসের চেয়ে ৩৩ কোটে ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের নভেম্বরে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার।
সিদ্যবিদায়ী নভেম্বর মাসের রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে পাঁচ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৭২ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। তবে সাত ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
Administrative Contact:
Name: Fatama Akter Shiuly
Address: Sheikhghat Sylhet.
Postal Code: 3100
Email: siuliakter571@gmail.com
Phone: 880 1760275449
প্রধান সম্পাদক: ফাতেমা আক্তার শিউলী
প্রধান সম্পাদক: ফাতেমা আক্তার শিউলী Phone: 880 1760275449