যেভাবে সরকার গঠন হবে পাকিস্তানে

প্রকাশিত: ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪

যেভাবে সরকার গঠন হবে পাকিস্তানে

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

অবশেষে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) কেন্দ্রীয় সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। সমঝোতা অনুযায়ী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে নওয়াজ শরিফের ভাই শেহবাজ শরিফ এবং আসিফ আলী জারদারি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দীর্ঘ আলোচনার পর সরকার গঠনের চুক্তি চূড়ান্ত করেছে পিএমএল-এন এবং পিপিপির সমন্বয় কমিটি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কোনও দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন না পাওয়ায় দেশটিতে ঝুলন্ত সংসদ ঘিরে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। সরকার গঠন করতে দেশটির প্রধান তিন রাজনৈতিক দল জোট করার বিষয়ে জোরাল প্রচেষ্টা চালায়। এর মধ্যে পুরোনো দুই জোটসঙ্গী পিএমএল-এন এবং পিপিপি নতুন করে সরকার গঠনের সিদ্ধান্তে পৌছালো।

গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল জারদারি ভুট্টো এই চুক্তির ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে বিলাওয়ালের পাশে বসা ছিলেন শেহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, সরকার গঠনের জন্য দুটি দলের পর্যাপ্ত আসন আছে এবং তাদের প্রতি অন্যান্য ছোট দলের সমর্থনও রয়েছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নেতৃত্বাধীন পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৯২টি আসনে জয়ী হলেও ৭৯টি আসন নিয়ে জাতীয় পরিষদের বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে পিএমএল-এন। আর পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। অন্য আরও চারটি দলকে সঙ্গে নিয়ে ৩৩৬ আসনের জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে পিএমএল-এন ও পিপিপি।

পাকিস্তানে সরকার গঠন নিয়ে শুরু হওয়া টানাপোড়েন ঘিরে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মন্থর গতির প্রবৃদ্ধি আর রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান জঙ্গি হামলার মাঝে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ও কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য দেশটিতে স্থিতিশীল প্রশাসন দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সরকারের মেয়াদের কোনো পর্যায়ের শেহবাজ শরিফের মন্ত্রিসভায় বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি যোগ না দিলেও প্রেসিডেন্টসহ সাংবিধানিক অন্যান্য শীর্ষ পদ পাবে দলটি। এ ছাড়াও দেশটির বৃহত্তম প্রদেশ পাঞ্জাবের মন্ত্রিসভাতেও যোগ দেবে না দলটি।

প্রেসিডেন্ট পদ, সিনেট চেয়ারম্যান, পাঞ্জাবের গভর্নর, খাইবার পাখতুনখোয়ার গভর্নর, বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী, জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার।

অন্যদিকে, কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে সরকার গঠনে পিপিপির সমর্থন পাবে পিএমএল-এন। নওয়াজ শরিফের দলও বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য পিপিপির মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দেবে।

• পিএমএল-এন কী পাবে?
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়,পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী,জাতীয় পরিষদের স্পিকার, সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের গভর্নর।

দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকতে হবে। ওই অধিবেশনে নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: জিও নিউজ

R/N

আমাদের তথ্যচিত্র গান কবিতা নাটক ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ